হিরণ্যকশিপু মিথ্যাচার (ভাগবতপুরাণ)

ভাগবতঃ বাকি থাকল হিরণ্যকশ্যপ। তার পুত্র প্রহ্লাদ।সে এক ভগবদ ভক্ত বালক। তাকে তার বাবা বলল-যদি তোর ইষ্টদেব রাম সত্য হয় তা হলে এই উত্তপ্ত স্তম্ভ ধরিলেও জ্বলিবে না। তখন সে তা ধরতে উদ্যত হল। এসময় তার মনে সংশয় দেখা দিল, দগ্ধ না হয়ে সে রক্ষা পাবে কিনা। তখন নারায়ন সে স্তম্ভের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পিপীলিকার শ্রেণী চালিত করল। প্রহ্লাদ নিশ্চিত হয়ে স্তম্ভ ধরিল। স্তম্ভ বিদীর্ণ হল।স্তম্ভের ভিতর থেকে নৃসিংহ আবির্ভূত হয়ে তার বাবার উদর বিদীর্ণ করিতে লাগলেন। পরে পহ্লদকে ২১ পুরুষ সদগতি লাভ করার বর দিলেন ।
.
প্রশ্ন- প্রজ্বলিত স্তম্ভে পিপীলিকা কি করে বিচরণ করেছিল? প্রহ্লাদও দগ্ধ হলো না কেন? যে সকল লোক এ কথা বিশ্বাস করে ও মানে তাকে উত্তপ্ত স্তম্ভ স্পর্শ করানো উচিত। যদি সে দগ্ধ না হয় তবে মানতে হবে যে প্রহ্লাদ দগ্ধ হয় নাই। পূর্বে সনকাদিকে বর দেওয়া হয়েছিল যে, ৩য় জম্মের পর সে বৈকুন্ঠে আসিবে। নারায়ন কি তা ভুলে গেল ?
ভাগবতের মতে ব্রহ্ম প্রজাপতি কশ্যপ হিরণ্যক্ষ ও হিরণ্যকশ্যপপুরুষের অন্তরগত। প্রহ্লাদের ২১ পুরুষ হয় নাই অথচ ২১ পুরুষের সদগতি করার কথা বলা কত বড় ভুল ! আবার সেই হিরণ্যক্ষ ও হিরণ্যকশ্যপ, রাবণ ও কুম্ভকর্ণ এবং পরে শিশুপাল ও দন্তবক্র রূপে জম্মগ্রহণ করল। তাহলে নৃসিংহের বর কোথায় উড়ে গেল ? প্রমাদগ্রস্ত লোকেরাই প্রমাদপূর্ণ কথা বলে শোনে এবং বিশ্বাস করে। যারা বিদ্বান তারা কখনো সেরূপ করে না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *