বেদ কি কলি যুগে প্রযোজ্য নয়?

বেদ সব যুগেই প্রযোজ্য

সমগ্র মহাবিশ্ব ধ্বংস বা পুনঃসৃষ্টি

হলেও বেদ সকল

কালের জন্য প্রযোজ্য ও সর্বদা

অপরিবর্তিত

থাকবে…।”” ঋগবেদ ১০/১৯০/১-৩ বেদ

সকল যুগ

ও কালের জন্য প্রযোজ্য।এর বাণী

কখনো

অপ্রাসঙ্গিক হয়না,অচল হয়না।বেদ

মন্ত্র কলিযুগে

নিষ্ক্রিয়-এ ধরনের প্রলাপ তাই

অনর্থক।সর্বযুগে ই

তা আধুনিক। অংতি সন্তং ন

জহাত্যন্তি সন্তং ন পশ্যতি।

দেবস্য পশ্য কাব্যং ন মমার ন

জীর্যতি। অথর্ববেদ

১০.৮.৩২ অংতি সন্তম্- সমপিবর্ত্তী

পরমাত্মাকে,ন

পশ্যতি- দেখেনা,ন জহাতি-বর্জিত

হয়না,দেবস্য

কাব্যম- ঈশ্বরের বানী বেদকে,পশ্য-

দেখ, ন

মমার-অচল হয়না,ন জীর্যতি-

অপ্রাসঙ্গিক

হয়না,জীর্ন হয়না। অর্থাত্,মনুষ্য

সমীপবর্ত্তী

পরমাত্মাকে দেখেও না আবার

তাহাকে ছাড়িতেও

পারেনা। পরমাত্মার বানী বেদকে

দেখ,কখনও

অচল হয়না,কখনও অপ্রাসঙ্গিক বা

জীর্ন হয়না ১/৮৫

“চারযুগে(সত্য,ত্রেতা,

দ্বাপর,কলি)দায়িত্বের

রকমভেদ রয়েছে কারন প্রতি যুগে

মানুষের আয়ু

হ্রাস পাচ্ছে” ১/৮৬ “”সত্য যুগে

তপস্যা, ত্রেতায়

জ্ঞান, দ্বাপর এ যজ্ঞাদি ও

কলিতে দান ই শ্রেষ্ঠ

ধর্ম।’ (যদিও অনেক

অপপ্রচারকারীরাই বলেন

কলিতে নাকি হরিনাম ই একমাত্র

ধর্ম!!!) ১/৮৭ “কিন্তু

মহাবিশ্বের ভারসাম্য রক্ষার্থে

সবসময় ই চার

ধরনের পেশা ভাগ করা হয়েছে”

১/৮৮ “ব্রাক্ষ্মনরা

নিজ স্বার্থত্যগ করে কাজ

করবে,বেদ পরবেএবং

তা অপরকে শেখাবে” ১/৮৯

“ক্ষত্রিয়রা বেদ

পরবে,লোকরক্ষা ও

রাজ্যপরিচালনায় নিযুক্ত

থাকবে” ১/৯০ “বৈশ্যরা বেদ

পরবে,ব্যবসা

ওকৃষিকর্মে নিজেদের

নিযুক্তকরবে” ১/৯১

“শুদ্ররা বেদ পাঠ করবে এবং

সেবামুলক

কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে” “আমি

মানবকল্যানে যে

বাণী তোমাদের দিয়েছি তা

প্রচার কর ব্রাক্ষ্মন

ক্ষত্রিয় বৈশ্য শুদ্র নারী পুরুষ পাপী

পুন্যাত্মা

নির্বিশেষে সকলকে” যজুর্বেদ ২৬/২

গত

কয়েকশবছর এ,যখন বেদজ্ঞান এর

অভাব কে

কাজে লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী

ধর্মব্যবসায়ী ও

তথাকথিত ব্রাহ্মন পরিচয় ধারী

যারা কিনা দস্যু থেকেও

অধম তারা তৈরী করেছিল

অস্পৃশ্যতা নামক জঘন্য

প্রথা।একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া তো

দুরের

কথা,অনেকেই একে অপরকে

নিজেদের

বানানো ছোট জাত বিবেচনা করে

ছুঁতও না।অথচ

পবিত্র বেদ বলেছে- সমানী প্রপা

সহ

বোরন্নভাগঃ সমানে যোক্তো সহ

বো যুনজমি।

সমঞ্চোহগ্নিং যপর্যতারা নাভি

মিবাভিতঃ।। অথর্ববেদ

৩.৩০.৬ বঃ-তোমাদের,পপা-

পান,সমানী-একসঙ্গে

একপাত্রে হউক,বঃ অন্নভাগাঃ-

তোমাদের আহারও

একসাথে হউক,বঃ-তোমাদিঘে,সহ-

সঙ্গে,সমানে

যোক্ত্রে-এক বন্ধনে,যুনজমি-যুক্ত

করেছি,সম্যন্চঃ-সবাই

মিলে,অগ্নিং সপর্যত-একসাথে

উপাসনা কর(যজ্ঞাদি,ধ্যন),ইব-

যেমন,অরাং নাভিং অভিত-

যেমন করে রথচক্রের চারপাশে অর

থাকে।

অর্থাত্,হে মনুষ্যগন তোমাদের

ভোজন ও আহার

হোক একসাথে,একপাত্রে,

তোমাদের

সকলকে এক পবিত্র বন্ধনে যুক্ত

করেছি,তোমরা সকলে এক হয়ে

পরমাত্মার উপাসনা

(যজ্ঞাদি,ধ্যন) কর ঠিক যেমন করে

রথচক্রের

চারদিকে অর থাকে!

ন্যায় দর্শন 2./1/69 মুণ্ডক ঊপনিষদ

2/1/4 ,

2/1/6 ,নিরুক্ত 1/18 , যোগ দর্শন

1/26 , বৈশেষিক

1/1/3 বেদান্ত সুত্র 1/1/3 , 1/3/29

মনুসংহিতা

12/95-96 বেদের সর্বকালীন

গ্রাহ্যতা ও

প্রামাণিকতা স্বীকার করে |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *