বেদাঙ্গ (কল্প) ১ম পর্ব।

আজ আলোচনা করব বেদাঙ্গ (কল্পসুত্র) নিয়ে।
৬ ষ্ঠ বেদাঙ্গ হলো কল্প।কল্প গুলি সুত্রাকারে গ্রথিত। তাতে যেমন যজ্ঞের বিধি উল্লেখ্য আছে তেমনি গার্হস্থ্য জীবনের সংস্কার প্রভৃতির আলোচনাও আছে। এদের ৪ টি শ্রেণী আছে।
১ 🙂 – শ্রৌতসুত্র।
২ 🙂 – গৃহ্যসূত্র।
৩ 🙂 – ধর্মসুত্র।
৪ 🙂 – শুল্কসুত্র।
ব্রাহ্মণে যে সমস্থ যজ্ঞের উল্লেখ আছে তাদের বলা হয় শ্রৌত যজ্ঞ, কারণ ব্রাহ্মণ(গ্রন্থ) শ্রুতির অংশ।
এই যজ্ঞ গুলির সং্খ্যা ১৪ টি।
৭ টি হবি যজ্ঞ ( অর্থাৎ ঘৃতাহুতি দিয়ে নিস্পন্ন করতে হয়) এবং ৭টি সোম যজ্ঞ ( সোমরস আহুতি দিতে হয়)।
শ্রৌত সুত্রে এই ১৪টি যজ্ঞের বিস্তারিত বিবরণ আছে। এর জন্য ৩ টি অগ্নির আধান করতে হয়। ঃ-
১ 🙂 গার্হপত্য।
২ :)- আহবনীয়।
৩ :)- দক্ষিণ।
এই ১৪ টি ছাড়া আরো অতিরিক্ত যজ্ঞ আছে। তাদের ‘স্মার্ত’ যাগ বলা হয়।
তাতে ঔপাসন, হোম,বৈশ্বদেব প্রভৃতি ৭ টি যজ্ঞের বিধান আছে। এদের আলোচনা পাই গৃহ্যসুত্রে।
স্মার্ত কর্মগুলি স্মার্ত অগ্নিতে করা হয়। স্মার্ত অগ্নির অন্য নাম বৈবাহিক, গৃহ্য, অবিসথ্য, দশপূর্ণমাস, পশুযাগ, পিতৃযাগ।
হিন্দুর জীবনে জন্ম হতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পযন্ত যে ১৬ টি সংস্কার পালন করতে হয় সে বিষয়ে আমরা অবহিত। কারণ বৈদিক যুগ হতে এইগুলি পালিত হয়ে আসতেছে।
এইগুলি কিভাবে সম্পাদন করতে হয় তার বিধি গৃহ্যসুত্রে আছে। ভাবতে অবাক লাগে এই সংস্কার গুলি হাজার হাজার বছর ধরে অপরিবর্তত রুপে বর্তমান আছে।
ধর্মসুত্র পরিবার কে ছড়িয়ে সমাজে পরিব্যাপ্ত। তাতে কর্তব্য অকর্তব্য, দেশাচার – লোকাচার প্রভৃতিরর বিষয়ে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। এর আর এক নাম “সাময়াচারিক সুত্র”। এখানে সময় অর্থে বুঝতে হবে সর্বসম্মত অনুশাসন। সুতরাং তাতে আছে সর্বসম্মত অনুশাসন এবং আচরণ সমন্ধে উপদেশ।
তারপর শুল্কসুত্র। তার সাথে কল্পসুত্রের ঘনিষ্ঠ সংযোগ আছে। তাতে আছে নানা ধরনের যজ্ঞবেদির পরিমাণ ঠিক করবার নিয়ম। সুতরাং শুল্কসুত্রের সঙ্গে তা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ঠিক বলতে কি এখানে ভারতীয় জ্যামিতিকে বীজ আকারে পাই।
প্রতি বেদের সঙ্গে সংযুক্ত নানা শ্রেণীর কল্পসুত্র পাওয়া যায়। তাদের একটি তালিকা পরবর্তী পোষ্টে দেয়ার চেষ্টা করব।
তথ্য সংগ্রহে — বিকাশ মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *